খাবার নিয়মিত একই সময় খাওয়া উচিত। অবশ্যই বাহিরের খাবার ত্যাগ করতেই হবে এবং তেলে ভাজা খাবার ঘরে তৈরি করেও খাওয়া উচিত না। অবশ্যই প্রসেস করা তেল কিংবা হাই হিটে ফিল্টার করা তেলের পরিবর্তে কোল্ড প্রেসড অলিভ অয়েল অথবা কোল্ড প্রেসড সরিষার তেল খেতেই হবে। এক খাবার দুইবার গরম করে খাবেননা। অর্থাৎ সকালের খাবার সকালেই খেয়ে ফেলুন। গরম পানি হজমে সহায়তা করে, ইনফ্লামেশন কমাতে সহায়তা করে, টেনশন কমায়, তাই খাবার পর কিংবা মাঝে মাঝে আদা দিয়ে গরম পানি পান করুন । Cabbage juice ( বাধা কপির জুস)- গবেষনায় প্রমানিত বাধাকপির জুস খেলে পেটের আলসার জনিত সমস্যাসহ গ্যাস্ট্রিক দূর হয়। বাধা কপির জুস হল best anti-inflammatory food। তাই মাঝে মাঝে এক কাপ ক্যাবেজ জুস খান, তবে একত্রে এক কাপ জুসের বেশী না খাওয়াই ভালো। কোন সার কিংবা কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি এরকম ক্যাবেজ ভালোভাবে ধুয়ে তারপর জুস বানানো যেতে পারে। এই জুস সবার খাওয়া উচিত। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামুচ অর্গানিক অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার নিয়মিত খান , এটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের চেয়েও কার্যকর সমাধান। মনে রাখবেন এটি খেয়ে শোয়া যাবেনা, বিছানায় শোয়ার মিনিমান দুই ঘন্টা পূর্বে এটি পান করুন। খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে খাওয়া যেতে পারে অথবা খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পরে এটি খাওয়া উচিত -------- এটি অসাধারন একটি ন্যাচারাল ওষুধ । কিন্তু কখনো অতিরিক্ত খেতে যাবেননা। একটানা এক মাস খেয়ে ১৫ দিন বিরতি দিয়ে দিয়ে খাওয়া ভালো। আর একটি কথা- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর, তাই সবসময় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ এড়িয়ে চলুন। রাতে ত্রিফলা ভেজানো পানি সকালে পান করুন। এটি আপনার এই সমস্যা দূর করবে। এটিও অনেক ভালো প্রতিকার। আপনি যতই ওষুধ খান তাতে কোন কাজ হবেনা যতক্ষন পর্যন্ত সঠিক সময়ে ঘুমাতে না যান এবং ঘুম থেকে খুব ভোরে না উঠেন এবং স্বাস্থকর খাবার না খান এবং নিয়মিত যদি ব্যায়াম না করেন। তাই অবশ্য এগুলি নিয়মিত পালন করুন এবং সুন্দর, স্বাস্থ্যকর জীবন গড়ুন।