• Hotline:09678 404142 ( 9am - 10pm)
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم

100% ORIGINAL PRODUCTS  ;  TRADE LICENSE  NUMBER :  236770   ;  VAT REGISTRATION NUMBER : 003469049-0401

                    

রোমাঞ্চকর যৌবন (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য)

Admin 0 Comment July 26, 2021, 4:12 pm

পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন উত্তেজনা বাড়াতে হলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন (blood circulation) বাড়াতে হবে । অর্থাৎ শরীরে রক্ত সঞ্চালন বা রক্তের প্রবাহ বাড়লে যৌনাঙ্গেও রক্তের সঞ্চালন বাড়বে । যৌনাঙ্গে রক্তের প্রবাহ বা সঞ্চালন বাড়লেই যৌন উত্তেজনাও অনেক বেড়ে যাবে। রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে হলে শরীরে Nitric oxide বাড়াতে হবে কারন এই Nitric oxide রক্তনালী প্রসারিত করে , ফলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে এবং ব্লাড প্রেসার কমে। এই Nitric oxide খুব খুব গুরুত্বপূর্ন। ............ Nitric oxide বাড়ানোর কয়েকটি উপায় হল--------- **প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে একদম খালি পেটে ৪৫-৬০ মিনিট হাটুন খুব দ্রুত গতিতে , সুস্থ থাকার জন্য হাটার কোন বিকল্প নেই এবং ওজন নিয়ন্ত্রন করুন। শাররীক অনুশীলনে শরীরে Nitric oxide বাড়ে, ফলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পায়। ** মুখ দিয়ে শ্বাস করা যাবেনা…… Nitric oxide বাড়ানোর জন্য অবশ্যই নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে ***** বীট, রসুন, পালং শাক (spinach ) , লেবু, বেদানা, ১০০% ডার্ক চকোলেট খেতেই হবে নিয়মিত । **সুগার এবং অ্যালকোহল বাদ দিতেই হবে । ****ভালো ঘুমাতে হবে। **হার্টের যত্ন নিতে হবে অর্থাৎ রক্ত চলাচলের জন্য হার্টকে সুস্থ রাখতে হবে । ** Nitric oxide এর অর্গানিক সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে . পেটে চর্বির (belly fat) পরিমাণ বেড়ে গেলে যৌনাঙ্গে রক্তের প্রবাহ হ্রাস পায়। সুতরাং জিমে গিয়ে অথবা বাড়িতে বসে ব্যায়াম করে পেটের চর্বি কমাতে হবে। মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই যদি শরীর থেকে Testosterone অনেক কমে যায় বা শূন্য হয়ে যায় তাহলে তার একবিন্ধু পরিমাণ যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকবে না। মহিলা এবং পুরুষ উভয়কে অবশ্যই হাতের মাসল, থাইয়ের মাসল এবং বুকের মাসল বাড়াতেই হবে, তাহলেই Testosterone এর মাত্রা পরিমানে বাড়বে । আর এইজন্য প্রথমে কিছুক্ষন স্বাভাবিক ব্যায়াম করতে হবে, তারপর আপনার শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভার উত্তোলনের মাধ্যমে থাই এবং হাতের মাসল বাড়ানোর ব্যায়াম করতেই হবে। তবে এটি সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিনদিন করবেন, এই ব্যায়াম নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু সকালের খুব দ্রুত গতির হাটা কিন্তু নিয়মিত হাটতে হবে, সকালের হাটা হল পুরো শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কিন্তু ভার উত্তোলনের ব্যায়াম হল মাসল বাড়ানোর মাধ্যমে Testosterone এর মাত্রা বাড়িয়ে যৌনাকাংখা অনেকগুন বাড়িয়ে তোলার জন্য এবং মাসল বৃদ্ধি পেলে চর্বি কমে, তাই বয়স বাড়লেও মাসল ঝুলে পড়েনা বরং টান টান থাকে কিন্তু যাদের কোন মাসল নেই , আছে শুধু চর্বি তাদের ক্ষেত্রে চর্বিটা ঝুলে পড়ে এবং তখন শুধু হাড্ডি দেখা যায়। তাই মাসল গঠন জরুরি। সর্বশেষে একটা কথা সেটা হল সুস্থতা এবং সামর্থ নিয়ে বাচতে চাইলে এই মাসল বিল্ডিং এর কোন বিকল্প নেই । Testosterone এর মাত্রা কমে যাওয়ার প্রধান কারনগুলি হল - stress সবথেকে বেশি Testosterone কিল করে, ভিটামিন – ডি এর ঘাটতি হলে , প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট কম খেলে, রাতে কম ঘুমালে , অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খেলে, exercise ( workout , specially leg exercise) না করলে, বিয়ার বা যে কোন অ্যালকোহল পান করলে, ধুমপান করলে, শাররীক মিলন কম করলে। যেসব খাবারে Testosterone বাড়ে সেগুলি হল----- Ginger, Pomegranates, Fatty fish and fish oil, Extra-virgin olive oil. আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে Testosterone যেমন গুরুত্বপূর্ন তেমনি Estrogen হরমোনও গুরুত্বপূর্ন । Estrogen এর মাত্রা বাড়লেও মেয়েদের যৌন আকাঙ্ক্ষা অনেক গুন বেড়ে যায়। তাই Estrogen এর মাত্রা বাড়াতে Garlic, vitamin B complex, Vitamin D, খেজুর, কাঠ বাদাম এই খাবার গুলি মেয়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। ### Zinc ### আমরা জানি জিঙ্ক (zinc) একটি মিনারেল যা ভালো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকার , পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই এই জিঙ্ক (zinc) যৌনাঙ্গে (sexual organs) রক্তের প্রবাহ বাড়ায় সমানভাবে। যে সব খাবারে প্রচুর জিঙ্ক (zinc) পাওয়া যায়- গরুর মাংস (Meat) , কুমড়ার বিচি (Pumpkin seeds), ছোলা বুট (Garbanzo Beans) , গলদা চিংড়ি (lobster) , চিংড়ি (shrimp) ,ডিম (Eggs), , চিনি দুধ ছাড়া একোচ চকোলেট (Dark Chocolate), পালং শাক (Spinach), রসুন (Garlic), তরমুজ (Watermelon), কলা (Bananas).। তাই এই খাবারগুলি অবশ্যই খেতে হবে। এছাড়া অর্গানিক জিংক সাপ্লিমেন্ট ( সর্ব প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ও প্রিজারভেটিভ মুক্ত) খেতে পারেন। ### ভিটামিন ডি ### ভিটামিন ডি এর অভাবে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রচন্ড যৌন অক্ষমতা তৈরি হয় শুধু তাই নয় ভিটামিন ডি এর অভাবে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে এবং আরো একটি বিষয় হল যদি আপনার শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি না থাকে তাহলে আপনি যত ক্যালসিয়াম খান না কেন কোন ক্যালসিয়াম আপনার শরীরে ঢুকবে না , কারন শরীর ভিটামিন-ডি এর মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহন করে। কাঠ বাদাম, চিজ, দধি এগুলির মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। তাছাড়া শরীরের প্রতিটা বিষয়ে ভিটামিন-ডি এর প্রভাব রয়েছে, ভিটামিন-ডি ছাড়া সুস্থ্য থাকা অসম্ভব । ভিটামিন ডি হল একধরনের হরমোন, উন্মুক্ত শরীরে প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট রোদ্র লাগালে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয় এবং সূর্যের আলোই হল ভিটামিন –ডি এর প্রধান উৎস , তাই রোদ্র লাগাতেই হবে। মুখ-মন্ডলে রোদ্র লাগানো যাবেনা কারন তাতে মুখের ত্বক পুড়ে যাবে, সুর্যের আলো সরাসরি স্ক্রীনে না পড়লে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয় না অর্থাৎ জামাকাপড়ের উপরে রোদ পড়লে সূর্যের আলো কোন উপকার আসেনা , তাই উন্মুক্ত পিঠে রোদ লাগানো উচিত । যে সব খাবারে ভিটামিন D পাওয়া যায় - মাশরুম (Mushrooms) , Cod Liver Oil , ডিমের কুসুম (Egg yolks) । তাই নিয়মিত রোদে যেতে হবে এবং একই সাথে অবশ্যই প্রত্যেক দিন অর্গানিক vitamin D3 সাপ্লিমেন্ট ও fish oil খেতেই হবে । ### L-arginine ### L-arginine হল একটি amino acid। এই amino acid শরীরে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি করে, মাসল বৃদ্ধি করে । যেসব খাবারে arginine পাওয়া যায়- দেশি মুরগী , আখরোট (Walnut), কুমড়ার বিচি (Pumpkin seeds), চীনা বাদাম (Peanuts) । ### ভিটামিন- ই (E) ### Vitamin-E কে 'sex vitamin' বলা হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি কতটা গুরুত্বপূর্ন? ভিটামিন ই যৌনাকাংখা ও stamina বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় । যে সব খাবারে ভিটামিন E পাওয়া যায়- Sunflower Seeds (সূর্যমুখী বীজ), Almonds ( কাঠ বাদাম), Spinach (পালং শাক), Peanuts ( চীনা বাদাম) , first cold pressed organic Olive Oil, Broccoli । ### ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ### Vitamain-b3- এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রচন্ড যৌন উত্তেজনা বাড়ায় এবং ছেলেদের ইরেক্টাইল ফাংশনকে আরো উন্নত করে। এই ভিটামিন- Chicken Breast, গরুর কলিজা এগুলির মধ্যে পাওয়া যায়। Vitamin-b5- এটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই শরীরে শক্তি উৎপাদন করে, সেক্স হরমোন বাড়ায় এবং কোলেস্টোরাল বাড়ায়। এই ভিটামিন ডিম, দধি, মুরগীর মাংস, গরুর মাংস এইগুলির মধ্যে পাওয়া যায়। এছাড়াও ভিটামিন বি-৬ এবং বি-১২ যৌন আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ভিটামিন -বি কমপ্লেক্স যুক্ত অর্গানিক সাপ্লিমেন্ট খান। ### কোলেস্টোরাল ( এক্ষেত্রে অবশ্যই সকালে ৪৫ মিনিট হাটতে হবে + মাসল বিল্ডিং এর জন্য ব্যায়াম করতে হবে): কোলেস্টরাল খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা উপাদান । কোলেস্টরাল না থাকলে যত রোদ্রই লাগান না কেন কোনভাবেই ভিটামিন-ডি উৎপন্ন হবে না এবং testosterone এর মাত্রাও বাড়বেনা। তাই সপ্তাহে যে তিনদিন মাসল বিল্ডিং এর জন্য ব্যায়াম করবেন সেই তিনদিন ব্যায়াম করার তিনঘণ্টা আগে এই খাবারটি খাবেন— ১০০% খাটি ঘী ১ টেবিল চামুচ + ১০০% খাটি organic cold pressed coconut oil ১ টেবিল চামুচ+ খাটি দেশি মুরগীর ডিমের কুসুম ৪টি (হাফ বয়েল করা ডিমের ৪টি কুসুম সাদা অংশ ব্যতীত) । এছাড়াও ব্যায়াম করার ঠিক আগমুহুর্তে নিজের বানানো ন্যাচারাল প্রোটিন ড্রিংক পান করবেন, ব্যায়াম করার মধ্যেও এটি পান করবেন এবং ব্যায়াম শেষ করার পরেও এই এই ন্যাচারাল অর্গানিক প্রোটিন ড্রিংকটি পান করবেন। অবশ্যই সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের বেশি এই ব্যায়াম করবেন না এবং সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিনদিন। ব্যায়াম শেষ করার পরে প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি ভালো ১০০% ন্যাচারাল খাবার খাবেন। ###নিয়মিত খাবার ### অবশ্যই শরীর সুস্থ রাখার জন্য ভাত, রুটি , আলু, বিস্কুট, চিনি অর্থাৎ এই জাতীয় শর্করা খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে এবং অবশ্যই এর পরিবর্তে শক্তির জন্য নিয়মিত ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার ও ভালো ফ্যাট – যেমন- দেশীয় ডিম , টক দই, মাছ, দেশীয় মুরগী, দেশীয় গরুর মাংস ও ভালো ফ্যাট- First cold pressed organic olive oil (গরম করা তেল খাওয়া যাবেনা বা এই তেল দিয়ে কোন কিছু রান্না করে খাওয়া যাবেনা, শুধুমাত্র সালাদ বা ভর্তার সাথে খাওয়ার জন্য) এবং first cold pressed organic coconut oil (গরম করা তেল খাওয়া যাবেনা বা এই তেল দিয়ে কোন কিছু রান্না করে খাওয়া যাবেনা, শুধুমাত্র সালাদ বা ভর্তার সাথে খাওয়ার জন্য), বাদাম, খটি মাখন, খাটি ঘী পরিমিত হারে খেতে হবে এবং প্রচুর শাকসবজি জাতীয় খাবার ও ফল-মূল নিয়মিত খেতে হবে । তবে বাদামী চালের ভাত খুব অল্প পরিমাণে গ্রহন করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত যা যা অবশ্যই খাবেন সেক্স বাড়ানোর জন্য--- ভিটামিন ডি- অর্গানিক সাপ্লিমেন্ট , অর্গানিক কড-লিভার অয়েল , অর্গানিক কিসমিস, খেজুর , ডালিম বা বেদানা , সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গরুর মাংস , Mushrooms ,Ground flax seeds, Garlic, water melon ও Banana , Zinc + vitamin B complex এর অর্গানিক সাপ্লিমেন্ট গ্রহন করুন ( এটি খুব ভালো কাজ করে)। এছাড়াও খুব কার্যকরী অর্গানিক ফুড সাপ্লিমেন্ট আছে – পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য। যেমন- Ginseng Root Extract , Organic Maca Root Powder এগুলি হল এক একটা গাছ যা মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের জন্য প্রচন্ড কার্যকরী। আমরা সরাসরি কোরিয়া থেকে আনিয়ে দেই। বৈধভাবে আনার কারনে ভ্যাট এবং ট্যাক্স দিতে হয় তাই দাম একটু বেশি , কিন্তু ১০০% অরিজিনাল এবং ফ্রেশ প্রোডাক্ট পাবেন। ( Visit us : https://ultimatestyle.com.bd/end-category/147 ) ### যা অবশ্যই জানা দরকারঃ Orgasm(প্রচণ্ড যৌন উত্তেজনা ): যৌন উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে নারী কিংবা পুরুষ এমন একটি চরম অবস্থায় পৌছায় যখন তাদের যৌনাঙ্গ থেকে ফ্লুইড নির্গত হয়, এই চরম মূহূর্তকেই অর্গাজম বলে। কিন্তু বাংলাদেশের ৮০% মহিলা জানেই না যে , মহিলাদের অর্গাজম হয় !!! কারন তাদের যৌন উত্তেজনা কখনো অর্গাজম পর্যন্ত পৌছায়নি। ক্লিটোরিস হল মহিলাদের শরীরের সব থেকে কামুক জোন , এখানে ৮ হাজার স্নায়ু এসে মিলেছে কিন্তু পুরুষাঙ্গে এই স্নায়ুর সংখ্যা অর্ধেক অর্থাৎ চার হাজার। নারীদের যৌন তৃপ্তির প্রধান অঙ্গই হল এই ক্লিটোরিস এবং প্রতিটা অর্গাজম এই ক্লিটোরিসের মাধ্যমেই হয়। অর্গাজম হলে হার্ট ভালো থাকে, ঘুম ভালো হয়, ডিপ্রেশন কমে। পুরুষরা খুব সহজেই উত্তেজিত হয় এবং তাদের অর্গাজম খুব সহজে হয় কিন্তু নারীদের উত্তেজিত করতে হয় এবং তাদের এই উত্তেজনাটা ধরে রেখে আরো আরো তীব্র করতে হয় অর্থাৎ নারীদের ক্ষেত্রে কোন ড্রপ দেয়া যাবে না, তাহলেই নারীদের অর্গাজম ঘটানো সম্ভব। পক্ষান্তরে নারীদের অর্গাজম ঘটানোর জন্য পুরুষকে হতে হবে ধৈর্যশীল। পুরুষকে তাঁর নিজের উপর কন্ট্রোল রাখতে হবে অর্থাৎ পুরুষ তাঁর উত্তেজনাকে ব্যালেন্স করে আগাবে। মনে রাখতে হবে এটা একটা জার্নি এবং এই জার্নি স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্যই যেন চরম আনন্দদায়ক হয়। ### বিষণ্ণতা (depression), মানসিক চাপঃ এইগুলি থেকে যেভাবেই হোক বের হয়ে আসতেই হবে। সবসময় আল্লাহর উপর নির্ভর করুন। নামাজ পড়ুন , রোদ লাগান, প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটান নিয়মিত, নিয়মিত ঘুরতে যান। ### ঘুমঃ নিয়মিত রাত ১০ টা থেকে ভোর ৪:৩০ পর্যন্ত একদম অন্ধকার রুমে ঘুমাতে হবে কারন এই সময় মেলাটোনিন নামক এক ধরনের হরমোন নির্গমন হয়। যার ফলে শরীরে testosterone এর মাত্রাও বেড়ে যায়, এছাড়াও এই সময়ে ঘুমের কারনে শরীরের কোষ সতেজ হয়, হার্ট ভালো থাকে, মাসল বাড়ে, মানসিক চাপ কমে এবং ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করতে হবে। ভোরের বাতাস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। **** বিশেষ দৃস্টিঃ সব সময় ন্যাচারাল খাবার খেতে হবে। অর্থাৎ কোন খাবারে যদি আর্টিফিসিয়াল কিছু যোগ করা হয় তবে সেটাই খুব বিষাক্ত হয়ে যায়। সপ্তাহে একদিন অবশ্যই আল্লাহর উপর ভরসা করে রোযা রাখুন তাতে মাসল বাড়বে, আপনার কোষ পরিস্কার হবে, শরীর বিষমুক্ত হবে। ### নিরবচ্ছিন্ন রক্তের প্রবাহ থাকলে যৌন উত্তেজনা থাকে কিন্তু যেসব রোগ হলে রক্তের প্রবাহ প্রবলভাবে হ্রাস পায়- তাদের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম, এছাড়াও রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ (High blood pressure) , প্রবল ওজন বৃদ্ধি (weight gain), হৃদ রোগ ( heart diseases)। এছাড়া Thyroid disorders থাকলেও সেক্স ডিজায়ার কমে। কিন্তু লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করে সহজেই এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ। ### যেসব খাবারে যৌন উত্তেজনা হ্রাস পায় – এগুলি কখনোই খাবেন না। অবশ্যই অবশ্যই বাজে তেল এবং অবশ্যই অবশ্যই চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন, অতিরিক্ত লবন যুক্ত খাবার পরিহার করুন, ধূমপান পরিহার করুন , অ্যালকোহলকে না বলুন, যেকোন ভাজা পোড়া খাবার(Fried Foods), প্যাকেটজাত খাবার, যেকোন প্লাস্টিক পাত্রের বা বোতলের পানি এবং খাবার পরিহার করতেই হবে, কারন প্লাস্টিকের ক্যামিকেল পানি বা খাবারের সাথে মিশ্রিত হয়ে যায় যা মেয়েদের ইস্ট্রজেন হরমোনের উপর অনেক ক্ষতিকর প্রভাবে ফেলে, এ কারনে মেয়েদের যৌন আকঙ্কা কমে যায় , Microwave Popcorn, ভেজিটেবল অয়েল, সর্বোপরি বাহিরের তৈরি যেকোন খাবার যৌন উত্তেজনা হ্রাস করে, তাই এগুলি ত্যাগ করতেই হবে । ### বিশেষ নির্দেশনাঃ ***কিডনী, লিভার , হার্ট, হাই প্রেসার বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চলতে হবে । *** বাংলাদেশে যেসব সস্তা first cold pressed organic Olive Oil পাওয়া যায় সেগুলি বেশিরভাগ নকল কিংবা একদম নিম্নমানের যা না খাওয়াই উত্তম। অরিজিনাল Olive Oil অনেক দামী হয়। *** উপরে উল্লেখিত প্রোডাক্টগুলি ছাড়াও যেসব প্রোডাক্ট বাংলাদেশে সচরাচর পাওয়া যায় না সেগুলি আমাদের অর্ডার করলে আমরা বিদেশ থেকে এনে দেই। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন- Email: ultimatestyle.71@gmail.com ; Facebook: https://www.facebook.com/ultimatestyleBangladesh ; Website: ultimatestyle.com.bd

read more

যৌবন ধরে রাখার কৌশল (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য )

Admin 0 Comment February 15, 2021, 7:08 am

সামান্য কিছু ভুলের কারনে অপ্লবয়সে স্কিনে বয়সের ছাপ পড়ে , স্কিনে ভাজ পড়ে আর পঞ্চাশের পর পুরোপুরি আশি বছরের বৃদ্ধই হয়ে যায় এই দেশের নারী এবং পুরুষরা অথচ আমরা দেখি অনেক দেশের মহিলাদের যারা ৫৮ -৫৯ বছর বয়সেও বিয়ে করেন। তাই আজকের আলোচনার বিষয় হল বয়স ধরে রাখার উপায়, ৬০ বছর বয়সেও যেন আপনাকে ৩৫ বছরের যুবতী বা যুবক মনে হয়। আমরা অনেক পরিশ্রম করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ডাক্তার এবং বিউটিশিয়ানদের আলোচনা থেকে মুল বিষয়গুলি সংগ্রহ করে এখানে একত্রিত করে উপস্থাপন করেছি , তাই প্রতিটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং শেষে রয়েছে কিছু ম্যাজিকাল টিপস। সুতরাং আপনার স্বার্থেই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখা উচিত। আজকের আলোচনার বিষয় হল দুটি--------- ১) বাহ্যিকভাবে ত্বকের যত্নঃ *** ত্বকে মেকাপ যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভালো কিন্তু রেগুলার সমস্ত শরীরে শীত কিংবা গরম হোক প্রতিদিন একাধিকবার মশ্চেরাইজার ব্যবহার করতেই হবে হবে হবে……… এর কোন বিকল্প নেই। ** দৈনিক রাতে মেক-আপ রিমুভার দিয়ে মেক-আপ পরিস্কার করতে হবে ( যদি মেক-আপ করা থাকে) , তারপর একটি ভালো ব্রান্ডের ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ মন্ডল ধৌত করতে হবে, এরপর মুখ মন্ডলে কটন প্যাডের মাধ্যমে একটি ভালো মানের টোনার দিতে হবে, এরপর একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সেরাম(serum) ব্যবহার করতে হবে। তারপর মুখ মন্ডলে মশ্চেরাইজার দিতে হবে, তবে অবশ্যই গরমের দিনে ওয়াটার বেজড মশ্চেরাইজার ব্যবহার করতে হবে । এগুলি তো করতে হবেই এর সাথে সাথে সারা শরীরেও মশ্চেরাইজার দিতেই হবে। শীত হোক কিংবা গরম হোক প্রতিদিন এই নিয়মগুলি পালন করতেই হবে। ** প্রত্যেকদিন সকালে ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ মন্ডল ধৌত করতে হবে, এরপর মুখ মন্ডলে কটন প্যাডের মাধ্যমে একটি ভালো মানের টোনার দিতে হবে, সকালে সেরাম(serum) ব্যবহার না করাই ভালো কিন্তু মুখ মন্ডলে মশ্চেরাইজার দিতে হবে, তবে অবশ্যই গরমের দিনে ওয়াটার বেজড মশ্চেরাইজার ব্যবহার করতে হবে এরপর অবশ্যই মিনিমাম SPF 50 সমৃদ্ধ সানস্ক্রীন ব্যবহার করতে হবে, তবে spf আরো বেশী হলে ভালো এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর এটা লাগাতে হবে। ** দিনে বাহিরে বের হন বা না হন, সূর্যের আলো শরীর স্পর্শ করুক বা না করুক sunscreen ব্যবহার করতেই হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মিনিমাম SPF 50 সমৃদ্ধ সানস্ক্রীন ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতি দুই ঘন্টা পর পর এটা লাগাতে হবে। আরো একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল কোন কিছু রান্না(Cook) করতে যাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই আপনাকে sunscreen ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি শুধু নিয়মিত sunscreen ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বয়সের থেকে আপনাকে সবসময় ১০ বসরের ছোট মনে হবে। অবশ্যই শরীরে vitamin D এর চাহিদা পূর্ন করতে সকাল ১০ – ২ টার মধ্যে পিঠে রৌদ্র লাগাতেই হবে ( তবে কোন ক্রমেই মুখে রৌদ্র লাগানো যাবেনা) কারন ভিটামিন-ডি ছাড়া সুস্থ্য থাকা অসম্ভব , সুর্যের আলো সরাসরি স্ক্রীনে না পড়লে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয় না অর্থাৎ জামাকাপড়ের উপরে রোদ পড়লে সূর্যের আলো কোন উপকার আসেনা। তাই উন্মুক্ত পিঠে রোদ লাগানো উচিত এবং একই সাথে অর্গানিক ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট খাবেন পাশাপাশি সামুদ্রিক ফিশ অয়েল খেতে হবে। ** বাহির থেকে এসেই প্রথমে পানির ঝাপটা মুখে দিয়ে মুখমণ্ডল ধৌত করতে হবে , এরপর যদি সম্ভব হয় তাহলে টক দই, মধু এবং হলুদের গুড়া মিক্স করে একটি প্যাক তৈরি করে মুখ এবং ঘাড়ে দিলে ত্বকের পোড়া ভাবটা দূর হয়। তারপর ব্রান্ডের ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ মন্ডল ধৌত করে একটি মশ্চেরাইজার দিতে হবে এরপর সানক্রীন দিতে হবে তবে সন্ধার পরে সানস্ক্রীন দেয়ার দরকার নেই। **৮। সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন একটি ভালো ব্রান্ডের স্ক্রাব দিয়ে exfoliate করতে হবে। ২) ভিতরগতভাবে ত্বকের যত্নঃ *** একমাত্র ঘুমের সময় শরীর নিজেকে মেরামত করে, স্কিনে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং স্কিন তার কোলাজেন পুনর্নির্মাণ করে এর ফলে আপনি স্কিনের ভাজ বা কোচকানো স্কিন থেকে মুক্তি পান । রাতের একটি ভাল ঘুম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে 7 থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কম ঘুম স্কিনের ব্যারিয়ার ফাংশনকে অকার্যকর করে দেয় ফলে স্কিন থেকে অনেক পানি বের হয়ে স্কিনকে প্রচন্ড শুস্ক করে দেয়। কম ঘুমের কারনে গ্রোথ হরমোন লেভেল কমে যায় ফলে স্কিনের থিকনেস কমে যায়, স্কিনের কোলাজেন এবং ইলাস্টিকতা নস্ট হয়ে যায় যার ফলে স্কিন কুচকে যায় এবং স্কিন লুজ হয়ে ঝুলে পড়ে। এছাড়াও ভালো ঘুমের কারনে শরীরের প্রদাহ ( inflamation) খুব দ্রত কমে যায়, মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, মাসল বাড়ে……তাই ঘুমের কোন বিকল্প নেই, রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমাতে হবে এবং ফজরের আগেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। তবে ভোর ৫টার পরে বিছানায় থাকা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। *** সুগারকে বিষ বলা হয়, যে যত বেশী সুগার খাবেন সে তত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধ হবেন। কোলাজেন স্কিনকে শক্তিশালী করে, স্কিনকে আদ্র করে এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল স্কিনকে সবসময় টানটান রাখে অর্থাৎ স্কিনে কোন ভাজ বা বলী রেখা পড়তে দেয়না সুতরাং তারুন্য ধরে রাখার মুল অস্র হল এই কোলাজেন কিন্তু এই সুগারের কারনেই কোলাজেন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বা ধবংস হয়। প্রোটিন যদি সুগার বা কার্বোহাইড্রেট এর সাথে একত্রে খাওয়া হয় তাহলে সাথে সাথে রক্তে সুগার এর মাত্রা প্রচুর বেড়ে যায় ফলে ইনসুলিনও বেশী নির্গত হয় , আর এই ইনসুলিন ফ্যাট রিজার্ভ করে রাখে। তাই ফ্যাট কমানো সম্ভব হয়না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল প্রোটিনের সাথে কার্বোহাইড্রেট বা সুগার খেলে রক্তে নাটকীয়ভাবে প্রচন্ড সুগার বেড়ে যায়, এই সুগার স্কিনের কোলাজেনকে প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ করে ফলে খুব দ্রুত স্কিন কুচকে যায়। অর্থাৎ প্রোটিন+ কার্বোহাইড্রেট= বুড়িয়ে যাওয়া স্কিন। তাই মাংস বা ডিমের সাথে রুটি কিংবা ভাত খাওয়া যাবেনা, মিস্টি সস দিয়ে মাংস খাওয়া যাবেনা, মিস্টি পুডিং খাওয়া যাবেনা । সালাদ বা ভেজিটেবলের সাথে ডিম বা মাংস খাওয়া উচিত। ফাইবার (vegetables ) একমাত্র কার্বোহাইড্রেট যা ইনসুলিনে কোন ইফেক্ট করে না। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল আমাদের কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং কোলাজেনের সাপ্লিমেন্ট খেতে হবে। আবার একইভাবে যদি ফ্যাটের সাথে সুগার বা কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয় তাহলেও রক্তে প্রচন্ড সুগার বেড়ে যায় । অর্থাৎ ফ্যাট+ কার্বোহাইড্রেট/সুগার= বুড়িয়ে যাওয়া স্কিন। যেমন আইসক্রিম, মাখন ও চিনি। এই আইসক্রিমের মধ্যে ফ্যাট এবং সুগার দুটিই আছে। তাই এই জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। এখানে বলে রাখা ভালো—শুধু ফ্যাট খেলে রক্তে সুগার বা ইনসুলিন বাড়েনা কিন্তু প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়, ভালো ফ্যাট হল – কোল্ড প্রেসড অর্গানিক অলিভ অয়েল , ডিম, কাচা নারিকেল, ফিশ অয়েল, ফিশ। প্রোটিনের মত ফ্যাটও শাকসবজি বা সালাদের সাথে খেতে পারেন অথবা শুধু ফ্যাট খেতে পারেন। তাই ১০০% সুগার ফ্রি খাবার খেতে হবে, কোন বিকল্প নেই। ভর্তা , শাকসব্জি দিয়ে অল্প ভাত খান এবং একঘন্টা পর সালাদ বা শাকসব্জি দিয়ে ডিম, মাছ বা মাংস খান ……… তাছাড়া রুটি , গোল আলু, মূড়ি , খই , যেকোন বিস্কুট , যে কোন পিঠা খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। সর্বশেষ কথা হল রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রন করতেই হবে। *** কোলাজেন বৃদ্ধির ফুডঃ প্রোটিন ( ডিম/ ফিশ/ চিকেন/ চর্বি হীন গরুর মাংস) , ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ( ফিশ অয়েল, ওয়াল নাট, ফ্যাটি ফিশ) , Extra virgin olive oil ,সবুজ শাক ( পালং শাক) , বীট , ভিটামিন সি ( লেবু/কাচা মরিচ) – ফ্রি রেডিক্যাল ধবংস করে অর্থাৎ সুগার কমায়,গার্লিক , আলমন্ড । ***আধা ঘন্টা পর পর একটু একটু পানি খান। পানি স্কিনকে অনেক সুন্দর রাখে এবং শরীরকে রোগ বালাই থেকে মুক্ত রাখে। *** প্রতিদিন সকালে অবশ্যই ১০০% খালি পেটে ৪৫ মিনিট দ্রুত গতিতে হাটতে হবে। সকালে ব্যায়াম করে এসে লেবুর পানি খাওয়া উচিত (তবে লেবু পানি একদিন পরপর খাওয়া ভালো )। ৪৫ মিনিট পরে সকালের নাস্তা খাওয়া উচিত। ** ফুটন্ত তেলে ভাজা খাবার থেকে ফ্রি রেডিকেল উৎপন্ন হয় যা চামড়ার elasticity কে নস্ট করে দেয় ফলে অল্প বয়সেই স্কিন কুচকিয়ে যায়। এবং অতিরিক্ত লবনের কারনে যেমন স্ট্রোক হয় তেমনি স্কিনও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। fast food সহ যেকোন ধরনের বাহিরের খাবার ত্যাগ করতেই হবে। ধুমপান এবং অ্যালকোল পান করলেও খুব দ্রুত স্কিক কুচকে যায়। ** সকালের রান্না করা খাবার সকালেই খাওয়া উচিত , এটি দুপুরে না খাওয়াই ভালো। রান্না করা খাবার দ্বিতীয়বার গরম করে খাওয়া যাবেনা। দ্বিতীয়বার গরম করলে এসিড তৈরি হয়। ** নিয়মিত ফ্রেশ ফলফ্রুট খেতে হবে তবে যেসব ফলে প্রচন্ড সুগার বাড়ে সেগুলি পরিমিত হারে খেতে হবে । প্রচন্ড সুগার সমৃদ্ধ ফল হল – আনারস, তরমুজ , কলা, খেজুর এবং আম। তবে ফলমূল অবশ্যই যে কোন খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা ১ ঘন্টা পরে খাওয়া উচিত । *** কোল্ড প্রেসড অলিভ অয়েল দিয়ে সালাদ খেতে হবে কিন্তু কোনভাবেই এই তেল রান্নায় ব্যবহার করে খাওয়া উচিত না এবং নিয়মিত কাচা নারিকেল খেতে হবে। সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে জিংসেন খাওয়া যেতে পারে তবে একটানা একমাসের বেশী খাওয়া উচিত না, একমাস গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এই ginseng এইজিং প্রসেসকে স্লো করে দেয় এবং রক্তের সুগার হ্রাস করে। প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে কারন এন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে রক্ষা করে ফ্রি রেডিক্যাল এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। এই এন্টিঅক্সিডেন্ট সবুজ শাকসবজি , চা, গ্রীন টি, কফি , Broccoli, spinach, carrots, আমলকির মধ্যে থাকে। ***অবশ্যই ভিটামিন- এ, ভিটামিন –ই এবং ভালো ফ্যাট (ফিশ অয়েল, ওয়াল নাট, ফ্যাটি ফিশ, কাঠ বাদাম, Extra virgin olive oil, কাচা নারিকেল ) এবং ভালো প্রোটিন(ডিম/ ফিশ/ চিকেন/ চর্বি হীন গরুর মাংস) খেতে হবে। ভালো ফ্যাট + ভালো প্রোটিন = স্বাস্থকর স্কিন। *** শরীরের বর্জ্য বা বিষ দূর করতে হলে সপ্তাহে দুই দিন রোজা রাখুন, তবে ইফতারিতে কোন সুগার আইটেম এবং ভাজা পোড়া খাবার রাখা চলবেনা। প্রতিদিন অবশ্যই সন্ধ্যা ৬ থেকে সর্বোচ্চ ৭ টার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করুন।

read more

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি

Admin 2 Comments September 7, 2020, 1:24 pm

ডায়াবেটিস কেন হয়ঃ যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার ( চিনি, ভাত, আলু, রুটি, বিস্কুট, মুড়ি) খাই, তখন তা পেটে গিয়ে ভেঙে গ্লুকোজে (সুগার) পরিণত হয় এবং এই গ্লুকোজ বা সুগার রক্তের মধ্যে চলে যায়। ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন। ইনসুলিনের কাজ হলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে মানুষের দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া। সুতরাং যখন এই গ্লুকোজ শরীরের কোষে পৌঁছাবে না বা কোষে ঢুকতে পারবে না , তখন স্বাভাবিকভাবেই রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় , তখনি আমরা একে ডায়াবেটিস বলি। সাধারণত প্রসাবের মাধ্যমে কিছু গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যখন প্রস্রাব বেশি হয়, তখন ডায়াবেটিসে ভোগা রোগী তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন। দুটি কারনে রক্ত থেকে গ্লুকোজ (সুগার) কোষে পৌছায় না। প্রথমতঃ সাধারন ভাষায় বলা যায় চর্বি বা বিষাক্ত পদার্থের কারনে কোষগুলি Over loaded (ভরা) থাকে, ফলে কোষে জায়গা না থাকার কারনে সুগার বা গ্লুকোজ ঢুকতে পারেনা । অর্থাৎ ইনসুলিন রক্ত থেকে সুগার নিয়ে কোষে সরবরাহ করতে পারেনা কারন কোষে জায়গা নাই। যার ফলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। এই ধরনের ডায়াবেটিসকে আমরা টাইপ ২ ডায়াবেটিস বলি। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিকাংশই( প্রায় ৯০%) টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আপনি চাইলেই এই টাইপ ২ ডায়াবেটিস শরীর থেকে পুরোপুরি নির্মুল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দরকার একটি ভালো লাইফ স্টাইল ফলো করা এবং সচেতন থাকা। এক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মগুলি মানতে হবে- **১। প্রথমেই ভাত, রুটি , আলু, বিস্কুট, চিনি, মুড়ী অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে তাহলে রক্তে নতুন করে সুগার বাড়বে না। শাকসবজির মধ্যেও কার্বোহাইড্রেট থাকে , সুতরাং কার্বোহাইড্রেট এর ঘাটতি ফ্রেশ শাকসবজি খেয়ে পূরন করতে হবে। অবশ্যই আলু, বিস্কুট, চিনি, চানাচুর, মুড়ী, খই এগুলি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে অবশ্যই শাকসবজি খেতে হবে প্রচুর। তবে ব্রাউন চালের ভাত (সাদা ভাতের পরিবর্তে ঢেকি ছাটা চাল বা নিজেদের তত্ত্বাবধানে ধান থেকে পাওয়া চালের ভাত ) অথবা গমের ব্রাউন আটার রুটি সামান্য পরিমান গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই রাতের খাবার ৭ – ৭:৩০ এর মধ্যে শেষ করতে হবে। **২। বিষে ভরা কোষকে খালি করা - এই নিয়মটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ন । নিয়মটি হল- প্রত্যেক দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করে একদম ১০০% খালি পেটে ( অর্থাৎ পানিও খাওয়া যাবেনা ) মিনিমাম ৪৫-৬০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাটার মাধ্যমে আপনি আপনার বিষে ভরা কোষকে বিষমুক্ত করতে পারেন , প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করে এসে এক গ্লাস পানিতে পরিমান অনুযায়ী লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন এবং একই সাথে সপ্তাহে একটি কিংবা দুটি রোযা রাখতে হবে আপনার বিষে ভরা কোষকে পরিপূর্নভাবে বিষমুক্ত করতে। কোষ ভরা থাকলে insulin resistance এর উদ্ভব হয় এবং এটিই হল সব রোগের মূল রোগ , তাই insulin resistance আছে কিনা তা দেখতে HOMA-IR test করানো উচিত। **৩। রাত ৯-১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে অর্থাৎ দৈনিক রাতে একটানা ৭-৮ ঘন্টা ডিস্ট্রাবহীনভাবে ঘুমাতেই হবে। ঘুমের কারনে শরীরের কোষ সতেজ হয়, হার্ট ভালো থাকে, মাসল বাড়ে, মানসিক চাপ কমে এবং ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করতে হবে। ভোরের বাতাস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভালো ঘুম ইনফ্লামেশন কমায় নাটকীয়ভাবে, সুতরাং ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। **৪। অবশ্যই শরীর সুস্থ রাখার জন্য এবং শক্তির জন্য ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার ও ভালো ফ্যাট – যেমন, দেশীয় ডিম , টক দই, মাছ, দেশীয় মুরগী, দেশীয় গরুর মাংস ও ভালো ফ্যাট First cold pressed organic olive oil এবং first cold pressed organic coconut oil , বাদাম, খাটি মাখন, খাটি ঘী পরিমিত হারে খেতে হবে। ভাত, রুটি , আলু, বিস্কুট, চিনি অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো এবং অবশ্যই এই ভাল প্রোটিন ও ভালো ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতেই হবে। তাহলেই দেখবেন ডায়াবেটিস থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। **৫। দিনে খুব অল্প অল্প করে মোট ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। একত্রে বেশি পানি খাওয়া যাওয়া যাবেনা। **৬। প্রচুর ভিটামিন সি (C) সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যা রক্তে উচ্চ গ্লুকোজের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। **৭। অবশ্যই ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিন-ডি এর জন্য উন্মুক্ত শরীরে নিয়মিত রোদ লাগাতেই হবে । **৮। অবশ্যই ধুমপান এবং অ্যালকোহল পরিত্যাগ করতে হবে। **৯। অবশ্যই বাজে তেল খাওয়া যাবেনা । রান্নার জন্য অবশ্যই নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গানো সরিষার তেল খেতে হবে অথবা আমাদের অনলাইন শপ ( ultimatestyle.com.bd) এর নিজস্ব কাঠের ঘানিতে ভাঙানো ১০০% নির্ভেজাল এবং কোল্ড প্রেসড সরিষার তেল ক্রয় করতে পারেন। ** ১০) তারুন্য ধরে রাখার মুল অস্ত্র হল কোলাজেন কিন্তু এই সুগারের কারনেই কোলাজেন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বা ধবংস হয়। প্রোটিন যদি সুগার বা কার্বোহাইড্রেট এর সাথে একত্রে খাওয়া হয় তাহলে সাথে সাথে রক্তে সুগার এর মাত্রা প্রচুর বেড়ে যায় ফলে ইনসুলিনও বেশী নির্গত হয় , আর এই ইনসুলিন ফ্যাট রিজার্ভ করে রাখে। তাই ফ্যাট কমানো সম্ভব হয়না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল প্রোটিনের সাথে কার্বোহাইড্রেট বা সুগার খেলে রক্তে নাটকীয়ভাবে প্রচন্ড সুগার বেড়ে যায়, এই সুগার স্কিনের কোলাজেনকে প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ করে ফলে খুব দ্রুত স্কিন কুচকে যায়। অর্থাৎ প্রোটিন+ কার্বোহাইড্রেট= বুড়িয়ে যাওয়া স্কিন। তাই মাংস বা ডিমের সাথে রুটি কিংবা ভাত খাওয়া যাবেনা, মিস্টি সস দিয়ে মাংস খাওয়া যাবেনা। সালাদ বা ভেজিটেবলের সাথে ডিম বা মাংস খাওয়া উচিত। ১১) যেসব ফলে প্রচন্ড সুগার বাড়ে সেগুলি পরিমিত হারে খেতে হবে । প্রচন্ড সুগার সমৃদ্ধ ফল হল – আনারস, তরমুজ , কলা, খেজুর এবং আম। তবে ফলমূল অবশ্যই যে কোন খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা ১ ঘন্টা পরে খাওয়া উচিত । যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা এসব ফল যত কম খাবেন ততই ভালো। দ্বিতীয়তঃ আমরা জানি অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের হরমোন নিসৃত হয়। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরন বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত থেকে দেহের কোষে গ্লুকোজ বা সুগার পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখনি আমরা একে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলি। টাইপ ১ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রেও উপরোক্ত নিয়মগুলি ফলো করার পাশাপাশি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিসের কারণে যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারেঃ রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সুগারের পরিমাণ বেড়ে রক্তের ঘনত্ব বাড়লে শরীরে রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে পারে না , ফলে যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে এই রক্ত পৌঁছাতে পারেনা, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে এবং ইনফেকশনও হতে পারে । রক্তের প্রবাহ অনেক হ্রাস পাওয়ার কারনে যৌন ক্ষমতা খুবই কমে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনেও একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস । যেসব খাবার কখনই খাওয়া উচিত নয়ঃ ঘন দুধের তৈরি কোন খাবার, সাদা ব্রেড, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, বাজারের প্যাকেটজাত ফলের জুস, ক্যান্ডি, চিপস, স্পোর্টস ড্রিঙ্কস, সেরিয়াল, চকলেট, এনার্জি ড্রিঙ্কস, সফট ড্রিঙ্কস, ভাজা পোড়া খাবার, খারাপ তেলে রান্নাকৃত খাবার। ডায়াবেটিস পরিমাপঃ Fasting ( ঘুম থেকে উঠে ১০০ ভাগ খালি পেট থাকা অবস্থায় সুগারের পরিমাণ) ৬.১ এর নিচে থাকলে নরমাল অর্থাৎ ডায়াবেটিস নাই, ৬.১ - ৭ এর মধ্যে থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এটাকে বলে pre Diabetic, ৭ এর উপরে থাকলে ডায়াবেটিস, এর পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খেয়ে ২ ঘন্টা পর টেষ্ট-- ৭.৮ এর নিচে থাকলে নরমাল, ৭.৮ - ১১.১ এর মধ্যে থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এটাকে বলে pre Diabetic , ১১.১ এর উপরে থাকলে ডায়াবেটিস। ( কিডনী, লিভার , হার্ট বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের এবং গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চলতে হবে)

read more