দিনের ঘুম আর রাতের ঘুম এক কথা নয়, শরীর সুস্থ রাখতে রাতের ঘুমের কোন বিকল্প নেই পক্ষান্তরে দিনের ঘুমে ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার নেই। ডায়াবেটিস, প্রেসার, ইনফ্লামেশন ও বার্ধক্যের ছাপ এড়াতে রাতে গভীর ঘুম ঘুমাতেই হবে। যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে তারা যদি ঘুমাতে দেরী করে তাহলে এলার্জী বেড়ে যায় ফলে পরের দিন তাঁর জ্বর জ্বর অনুভব হয় এবং সর্দির সমস্যা দেখা দেয়। ### অবশ্যই নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে সবসময়ের জন্য, মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার অভ্যাস করা যাবেনা। ###যে খাবারগুলি খেলে ঘুম আসেঃ কুসুম গরম দুধ শরীরের অস্থিরতা দূর করে ফলে ভালো ঘুম আসে। আখরোট খেলে অনিদ্রা দূর হবে, তাই নিয়মিত আখরোট খান। ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত কলা খেতে হবে। ### নিয়মিত অভ্যাসঃ বিকাল থেকেই চা কিংবা কফি খাওয়া বন্ধ করুন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করুন । নিয়মিত একই সময় ঘুমাতে যান ( অবশ্যই দশটার মধ্যে ) এবং দৈনিক রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই দরকারি। সকাল পাচটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠুন ( একই সময়) । রাত আটটার পর নো মোবাইল, নো টিভি । সব ধরনের লাইট অফ করে একদম গভীর অন্ধকারে ঘুমান । খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর সারাদিন ঘুমানো যাবেনা। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামায শেষে ৩০-৪৫ মিনিট হাটুন ( সকালের ব্যায়াম হল রাতের ঘুমের প্রধান ওষুধ ) । দিনে প্রাকৃতিক আলোতে সময় কাটান।
read moreযা অবশ্যই মেনে চলতে হবেঃ কিছু সময় পরপর অল্প অল্প করে পানি খেতেই হবে। তবে একত্রে বেশী পানি পান করা যাবেনা। এবং অবশ্যই প্লাস্টিক বোতলের পানি পরিহার করতেই হবে। খাবার থেকে সুগার বাদ দিয়ে ৩০% testosterone বাড়ানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট যেমন – চিনি, রুটি, আলু, বিস্কুট, মুড়ি ,খই, চানাচুর এগুলি যতটা সম্ভব কম খেতে হবে অথবা এগুলি যদি খাবার মেনু থেকে পুরোপুরি বাদ দেয়া যায় তাহলে খুব ভালো এবং ভাত খুব অল্প খেতে হবে। যেকোন সয়াযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। যেমন- সয়া প্রোটিন, সয়া সস অথবা যেকোন সয়া প্রোডাক্ট। অ্যালকোহল, বীয়ার, গাজা এবং সিগারেট পরিহার করতেই হবে। তেলে ফুটানো খাবারের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এই ট্রান্স ফ্যাট অনেক অনেক ক্ষতিকারক। যেমন- চানাচুর, ফ্রেন্স ফ্রাই, ফ্রাইড চিকেন এবং ফুটন্ত তেলে অন্যান্য ভাজা খাবার। Fast food এবং লবন পরিহার করতেই হবে। Popcorn খাওয়া যাবেনা। যেসব পশুকে মোটাতাজা করার জন্য হরমোন ইনজেকশন দেয়া হয় সেগব প্রানীর মাংস খাওয়া যাবেনা। যেমন-যেসব গরুকে মোটাতাজা করার জন্য হরমোন ইনজেকশন দেয়া হয় সেসব গরুর মাংস খাওয়া যাবেনা । পুদিনা পাতা বাদ দিতে হবে। Testosterone বাড়াতে নিচের খাবারগুলি নিয়মিত খেতে হবেঃ Pomegranate, Beetroot ,Arugula,Walnut, Water melon,Pumpkin Seeds, Ginger, Spinach, Garlic, Zinc food ,Good fat ( cold pressed olive oil, cold pressed coconut oil, fish oil), Egg, Almond , Organic D supplement । নিয়মিত যা করতে হবেঃ সন্ধা ৭:৩০টার মধ্যে রাতের খাবার খেতে হবে। রাত দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং খুব গভীর ঘুম ঘুমাতে হবে। ভোর পাচটার পূর্বেই ঘুম থেকে উঠতে হবে। ঘুম থেকে উঠার দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর ১০০% খালি পেটে নিয়মিত দ্রুত গতিতে হাটতে হবে। ### অবশ্যই নাক দিয়ে শ্বাস নিতে হবে সবসময়ের জন্য, মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়ার অভ্যাস করা যাবেনা, যাবেনা, যাবেনা। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন টেনশন মুক্ত জীবন গড়ুন। মানসিক চাপে থাকলে আপনার সুগার বাড়বে, প্রেসার বাড়বে, ঘুম হবেনা এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসরনের কারনে Testosterone লেভেল কমতে থাকবে। প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটান, মাঝে মাঝেই ঘুরতে যান। নিয়মিত উন্মুক্ত শরীরে সূর্যের আলো লাগান। যতটা সম্ভব ওষুধ এড়িয়ে চলুন . ১০০% ন্যাচারাল খাবার খাবেন । ## সপ্তাহে তিনদিন মাসল বিল্ডিং এর জন্য ব্যায়াম করবেন, এই তিনদিন ব্যায়াম করার তিনঘণ্টা আগে এই খাবারটি খাবেন— ১০০% খাটি ঘী ১ টেবিল চামুচ + ১০০% খাটি organic cold pressed coconut oil ১ টেবিল চামুচ+ খাটি দেশি মুরগীর ডিমের কুসুম ৪টি (হাফ বয়েল করা ডিমের ৪টি কুসুম সাদা অংশ ব্যতীত) ।
read moreডায়াবেটিস কেন হয়ঃ যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাবার ( চিনি, ভাত, আলু, রুটি, বিস্কুট, মুড়ি) খাই, তখন তা পেটে গিয়ে ভেঙে গ্লুকোজে (সুগার) পরিণত হয় এবং এই গ্লুকোজ বা সুগার রক্তের মধ্যে চলে যায়। ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন। ইনসুলিনের কাজ হলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে মানুষের দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেওয়া। সুতরাং যখন এই গ্লুকোজ শরীরের কোষে পৌঁছাবে না বা কোষে ঢুকতে পারবে না , তখন স্বাভাবিকভাবেই রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় , তখনি আমরা একে ডায়াবেটিস বলি। সাধারণত প্রসাবের মাধ্যমে কিছু গ্লুকোজ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এই কারণে ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। যখন প্রস্রাব বেশি হয়, তখন ডায়াবেটিসে ভোগা রোগী তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন। দুটি কারনে রক্ত থেকে গ্লুকোজ (সুগার) কোষে পৌছায় না। প্রথমতঃ সাধারন ভাষায় বলা যায় চর্বি বা বিষাক্ত পদার্থের কারনে কোষগুলি Over loaded (ভরা) থাকে, ফলে কোষে জায়গা না থাকার কারনে সুগার বা গ্লুকোজ ঢুকতে পারেনা । অর্থাৎ ইনসুলিন রক্ত থেকে সুগার নিয়ে কোষে সরবরাহ করতে পারেনা কারন কোষে জায়গা নাই। যার ফলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। এই ধরনের ডায়াবেটিসকে আমরা টাইপ ২ ডায়াবেটিস বলি। বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীদের অধিকাংশই( প্রায় ৯০%) টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আপনি চাইলেই এই টাইপ ২ ডায়াবেটিস শরীর থেকে পুরোপুরি নির্মুল করতে পারেন। সেক্ষেত্রে দরকার একটি ভালো লাইফ স্টাইল ফলো করা এবং সচেতন থাকা। এক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মগুলি মানতে হবে- **১। প্রথমেই ভাত, রুটি , আলু, বিস্কুট, চিনি, মুড়ী অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে তাহলে রক্তে নতুন করে সুগার বাড়বে না। শাকসবজির মধ্যেও কার্বোহাইড্রেট থাকে , সুতরাং কার্বোহাইড্রেট এর ঘাটতি ফ্রেশ শাকসবজি খেয়ে পূরন করতে হবে। অবশ্যই ভাত, আলু, বিস্কুট, চিনি, চানাচুর, মুড়ী, খই এগুলি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং এর পরিবর্তে অবশ্যই শাকসবজি খেতে হবে প্রচুর। তবে ব্রাউন চালের ভাত (সাদা ভাতের পরিবর্তে ঢেকি ছাটা চাল বা নিজেদের তত্ত্বাবধানে ধান থেকে পাওয়া চালের ভাত ) অথবা গমের ব্রাউন আটার রুটি সামান্য পরিমান গ্রহণ করতে হবে। অবশ্যই রাতের খাবার ৭ – ৭:৩০ এর মধ্যে শেষ করতে হবে। **২। বিষে ভরা কোষকে খালি করা - এই নিয়মটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ন । নিয়মটি হল- প্রত্যেক দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করে একদম ১০০% খালি পেটে ( অর্থাৎ পানিও খাওয়া যাবেনা ) মিনিমাম ৪৫-৬০ মিনিট দ্রুত গতিতে হাটার মাধ্যমে আপনি আপনার বিষে ভরা কোষকে বিষমুক্ত করতে পারেন , সকালে ব্যায়াম করে এসে মাঝে মাঝে এক গ্লাস পানিতে পরিমান অনুযায়ী লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন এবং একই সাথে সপ্তাহে একটি কিংবা দুটি রোযা রাখতে হবে আপনার বিষে ভরা কোষকে পরিপূর্নভাবে বিষমুক্ত করতে। কোষ ভরা থাকলে insulin resistance এর উদ্ভব হয় এবং এটিই হল সব রোগের মূল রোগ , তাই insulin resistance আছে কিনা তা দেখতে HOMA-IR test করানো উচিত। একটি কথা উল্লেখ করতেই হবে- এই insulin resistance প্রায় সব রোগের মূল বা শিকড়। তাই শুধু ডায়াবেটিস না অন্যান্য রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চাইলেও অবশ্যই insulin resistance চেক করানো উচিত। ডায়াবেটিসের জন্য রক্তে সুগার টেস্ট করে দেখলেন যে রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক আছে কিন্তু ভিতরে ভিতরে insulin resistance হয়ে যাওয়ার কারনে আপনার বড় একটা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। **৩। রাত ৯-১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে হবে অর্থাৎ দৈনিক রাতে একটানা ৭-৮ ঘন্টা ডিস্ট্রাবহীনভাবে ঘুমাতেই হবে। ঘুমের কারনে শরীরের কোষ সতেজ হয়, হার্ট ভালো থাকে, মাসল বাড়ে, মানসিক চাপ কমে এবং ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠে নামায আদায় করতে হবে। ভোরের বাতাস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভালো ঘুম ইনফ্লামেশন কমায় নাটকীয়ভাবে, সুতরাং ভালো ঘুমের বিকল্প নেই। **৪। অবশ্যই শরীর সুস্থ রাখার জন্য এবং শক্তির জন্য ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার ও ভালো ফ্যাট – যেমন, দেশীয় ডিম , টক দই, মাছ, দেশীয় মুরগী, দেশীয় গরুর মাংস ও ভালো ফ্যাট First cold pressed organic olive oil এবং first cold pressed organic coconut oil , বাদাম, খাটি মাখন, খাটি ঘী পরিমিত হারে খেতে হবে। ভাত, রুটি , আলু, বিস্কুট, চিনি অর্থাৎ শর্করা জাতীয় খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো এবং অবশ্যই এই ভাল প্রোটিন ও ভালো ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতেই হবে। তাহলেই দেখবেন ডায়াবেটিস থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। **৫। দিনে খুব অল্প অল্প করে মোট ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। একত্রে বেশি পানি খাওয়া যাওয়া যাবেনা। **৬। ভিটামিন সি (C) সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যা রক্তে উচ্চ গ্লুকোজের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। **৭। অবশ্যই ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিন-ডি এর জন্য উন্মুক্ত শরীরে নিয়মিত রোদ লাগাতেই হবে । **৮। অবশ্যই ধুমপান এবং অ্যালকোহল পরিত্যাগ করতে হবে। **৯। অবশ্যই বাজে তেল খাওয়া যাবেনা । রান্নার জন্য অবশ্যই নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গানো সরিষার তেল খেতে হবে অথবা আমাদের অনলাইন শপ ( ultimatestyle.com.bd) এর নিজস্ব স্টেইনলেস স্টীলের মেশিনে ভাঙানো ১০০% নির্ভেজাল এবং কোল্ড প্রেসড সরিষার তেল ক্রয় করতে পারেন। ** ১০) তারুন্য ধরে রাখার মুল অস্ত্র হল কোলাজেন কিন্তু এই সুগারের কারনেই কোলাজেন সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ বা ধবংস হয়। প্রোটিন যদি সুগার বা কার্বোহাইড্রেট এর সাথে একত্রে খাওয়া হয় তাহলে সাথে সাথে রক্তে সুগার এর মাত্রা প্রচুর বেড়ে যায় ফলে ইনসুলিনও বেশী নির্গত হয় , আর এই ইনসুলিন ফ্যাট রিজার্ভ করে রাখে। তাই ফ্যাট কমানো সম্ভব হয়না। সবথেকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল প্রোটিনের সাথে কার্বোহাইড্রেট বা সুগার খেলে রক্তে নাটকীয়ভাবে প্রচন্ড সুগার বেড়ে যায়, এই সুগার স্কিনের কোলাজেনকে প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্থ করে ফলে খুব দ্রুত স্কিন কুচকে যায়। অর্থাৎ প্রোটিন+ কার্বোহাইড্রেট= বুড়িয়ে যাওয়া স্কিন। তাই মাংস বা ডিমের সাথে রুটি কিংবা ভাত খাওয়া যাবেনা, মিস্টি সস দিয়ে মাংস খাওয়া যাবেনা। সালাদ বা ভেজিটেবলের সাথে ডিম বা মাংস খাওয়া উচিত। ১১) যেসব ফলে প্রচন্ড সুগার বাড়ে সেগুলি পরিমিত হারে খেতে হবে । প্রচন্ড সুগার সমৃদ্ধ ফল হল – আনারস, তরমুজ , কলা, খেজুর এবং আম। তবে ফলমূল অবশ্যই যে কোন খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা ১ ঘন্টা পরে খাওয়া উচিত । যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা এসব ফল যত কম খাবেন ততই ভালো। ১২) অবশ্যই ভালো ফ্যাট খেতে হবে। যেমন- অলিভ অয়েল দিয়ে সালাদ, ডিম, সামুদ্রিক মাছের তেল। দ্বিতীয়তঃ আমরা জানি অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নামের হরমোন নিসৃত হয়। অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরন বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত থেকে দেহের কোষে গ্লুকোজ বা সুগার পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে সুগার বা গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখনি আমরা একে টাইপ ১ ডায়াবেটিস বলি। টাইপ ১ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রেও উপরোক্ত নিয়মগুলি ফলো করার পাশাপাশি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডায়াবেটিসের কারণে যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারেঃ রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সুগারের পরিমাণ বেড়ে রক্তের ঘনত্ব বাড়লে শরীরে রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে পারে না , ফলে যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে এই রক্ত পৌঁছাতে পারেনা, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে এবং ইনফেকশনও হতে পারে । রক্তের প্রবাহ অনেক হ্রাস পাওয়ার কারনে যৌন ক্ষমতা খুবই কমে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনেও একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস । যেসব খাবার কখনই খাওয়া উচিত নয়ঃ ঘন দুধের তৈরি কোন খাবার, সাদা ব্রেড, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস, বাজারের প্যাকেটজাত ফলের জুস, ক্যান্ডি, চিপস, স্পোর্টস ড্রিঙ্কস, সেরিয়াল, চকলেট, এনার্জি ড্রিঙ্কস, সফট ড্রিঙ্কস, ভাজা পোড়া খাবার, খারাপ তেলে রান্নাকৃত খাবার। ডায়াবেটিস পরিমাপঃ Fasting ( ঘুম থেকে উঠে ১০০ ভাগ খালি পেট থাকা অবস্থায় সুগারের পরিমাণ) ৬.১ এর নিচে থাকলে নরমাল অর্থাৎ ডায়াবেটিস নাই, ৬.১ - ৭ এর মধ্যে থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এটাকে বলে pre Diabetic, ৭ এর উপরে থাকলে ডায়াবেটিস, এর পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খেয়ে ২ ঘন্টা পর টেষ্ট-- ৭.৮ এর নিচে থাকলে নরমাল, ৭.৮ - ১১.১ এর মধ্যে থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এটাকে বলে pre Diabetic , ১১.১ এর উপরে থাকলে ডায়াবেটিস। ( কিডনী, লিভার , হার্ট বা অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের এবং গর্ভাবস্থায় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চলতে হবে)
read more